ভারতে কড়া নাড়ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। আগামী অক্টোবরে করোনা শীর্ষে পৌঁছাবে বলে ইতিমধ্যেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দপ্তরে জমা পড়েছে রিপোর্ট। তবে এরই মাঝে কিছুটা হলেও স্বস্তির বার্তা দিলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) প্রধান বিজ্ঞানী ড. সৌম্য স্বামীনাথন বলেছেন, ভারত সম্ভবত কোভিড মহামারির শেষ পর্যায়ে (এন্ডেমিক) প্রবেশ করেছে। তিনি বলেন, এটি (করোনা মহামারি) এমন একটি অবস্থানে আছে, যা কোনো ভাইরাসের স্থানীয়করণের মতো। ড. সৌম্য স্বামীনাথন বলেন, এন্ডেমিক বলতে বোঝায়, যখন একটি নির্দিষ্ট এলাকার কিছু মানুষ ভাইরাসের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার অভ্যাস রপ্ত করে ফেলে। এই অভ্যাস রপ্ত করার প্রক্রিয়া একটি বড় দিক।
আর তার জন্যই করোনা যে স্তরে এই মুহূর্তে ভারতে রয়েছে, তা মহামারির ক্ষেত্রে একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার পর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এর মতে, যেকোনো মহামারির শেষ পর্যায়কে এন্ডেমিক পর্যায় বলা হয়। এই পর্যায়ে মহামারির তীব্রতা কমে একটি নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে সেটি সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। ড. সৌম্য স্বামীনাথন বলেন, আমরা এন্ডেমিসিটির যে পর্যায়ে প্রবেশ করতে চলেছি, সেখানে সংক্রমণের প্রভাব কম বা মাঝারি দেখা যাবে। বিগত দিনগুলোর মতো তা আর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে না। বিজ্ঞানীর মতে, ভারতের মতো বড় দেশে সংক্রমণ যে একেবারে বাড়বে না তা বলা যায় না। আলাদা আলাদা জনগোষ্ঠীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও ভিন্ন হওয়ার কারণে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু জায়গায় সংক্রমণ বাড়তেই পারে। বিশেষত যেসব এলাকায় প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব ছিল কম বা যে এলাকায় টিকাকরণ হয়েছে সীমিত, সেখানে আগামী দিনে সংক্রমণ বাড়তে পারে। তবে ২০২২ এর মধ্যেই মহামারিকে অতীত করে ভারত স্বাভাবিক দিনে ফেরত যেতে পারবে বলেও আশার কথা জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই মুখ্য বিজ্ঞানী।
সূত্র: জি-নিউজ ইন্ডিয়া
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।